মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিভক্ত রাজনীতি

এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান 15/09/2023, FRIDAY, 20:40:50

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিভক্ত রাজনীতি, কী ছিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে?

মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা বা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে-the Proclamation of Independence(গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) এর সপ্তম তফসিল) নির্যাতিত ও বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত হয়ে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো তার তিনটি স্তর

ক. প্রথমটি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও বিশ্বাসঘাতকতার উল্লেখ
খ. দ্বিতীয় স্তর রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের ফলে অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ
গ. তৃতীয় স্তর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি।


# প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ (সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের সরকার গঠন করতে না দেওয়া)।
# অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ Unjust and Treacherous War (আলোচনা চলাকালীন)।


# সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে অস্বীকার করার প্রতিবাদ।
# স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনি(Arbitrarily and Illegally) সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ (সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আহবান করা ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চের অধিবেশন স্থগিত করণ)।
# জনগণের উপর অনবরত নজির বিহীন নির্যাতন ও গণহত্যা(continuous committing numerous acts of genocide and unprecedented torture)।
# দমনমূলক কার্যকলাপ (Committing repressive measure) এর প্রতিবাদ।


# জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার অর্জন (the legitimate right of self- determination of the people of Bangladesh)এর লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা।

# রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ(the people of Bangladesh whose will is supreme) এর স্বীকৃতি।
# বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার (In order to ensure for the people of Bangladesh equality, human dignity and social justice)এর প্রতিশ্রুতি।

# পারস্পরিক আলোচনার (Mutual consultation)স্বীকৃতি।
# বাংলাদেশের জনগণের জন্য আইনানুগ ও নিয়ম তান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা(To give the people of Bangladesh an orderly and just government) এর ওয়াদা।

মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা বা স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে- সংখ্যাগরিষ্ঠ, সংখ্যালঘু, সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি, ধর্মীয় বিদ্বেষ এ ধরনের কোন বিষয় উল্লেখ নেই। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার নামে সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্রকে বিভক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করারই নামান্তর।

বর্তমান যে রাজনীতি তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে অসংখ্য শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অন্যের হাতে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে এবং বিদেশীদের চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি থেকে সত্যিকারের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার প্রতিটা বিষয়কে বাস্তবায়নের কাজ করতে হবে।

বিদেশীদের প্রভু নয় বন্ধু ভেবে আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে।

সর্বশেষ

‘প্রজাতন্ত্র নয় গণরাষ্ট্র বানাতে বিজয় দিবসের চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে’ সিলেট মহানগরের শীত বস্ত্র বিতরণ গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিভক্ত রাজনীতি স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-১ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-২ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-৩ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-৪ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা- ৫ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা- ৬
Loading...