স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-১

বিডিপি ডেস্ক 15/09/2023, FRIDAY, 22:03:10

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা এ শিরোনামে কয়েকটি পর্বে এই দল গঠনের উদ্দেশ্য এবং কর্মসূচি তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আজ দেয়া হলো- প্রথম পর্ব

অত্র অঞ্চলে আর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বঙ্গদেশের মানুষ আর্য শাসন মেনে নেয়নি। অষ্টম শতকে পাল রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দ্বাদশ শতক পর্যন্ত এই বঙ্গভূমি পাল রাজবংশ শাসন করে। দ্বাদশ শতকে সেনরা এ অঞ্চল দখল করে। তারপর বৃটিশদের আগমন ঘটে।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ নামে দুটি অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানায়। মুসলিমদের ধারনা ছিল এর মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। কিন্তু অপর পক্ষের প্রতিবাদে ১৯১১ সনে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।

পরবর্তীতে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বাংলাদেশের দুর্গত জনগণের জন্য ঋণ- সালিশি বোর্ড গঠন এবং জমিদারি উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেন। সাথে সাথে অপর পক্ষ তীব্র প্রতিবাদ করে এবং একে ফজলুল হককে সাম্প্রদায়িক বলে চিহ্নিত করে।

এভাবে মুসলিমদের অগ্রগতি সাধনের জন্য রাজনৈতিকভাবে যত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হয় ততবারই সে চেষ্টার বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে। যার ফলে সর্বতোভাবে পাকিস্তান আন্দোলন আরম্ভ হলে বাংলাদেশের মুসলিমরা মূলত অর্থনৈতিক এবং ক্রমশ রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানকে সমর্থন করেন। ১৯৪৭ সালে যে নতুন জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল সেটা ধর্মভিত্তিক একটা জাতীয়তা বোধ।

কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই বৈষম্য ধরা পড়লো। পাকিস্তানের প্রশাসনিক অধিকার অবাঙালিদের হাতে ন্যস্ত হল। অর্থনৈতিক প্রভৃতি পশ্চিম পাকিস্তানে ঘটেছে; অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান উপেক্ষিত। যে শোষণ ব্রিটিশ আমলে ঘটেছিল ঠিক একই ধরনের অবস্থা পাকিস্তান প্রেক্ষাপটে রয়ে গেল।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় মূল তিনটি বিষয়ে কাজ করেছিল;
১. আধুনিক শিক্ষার আন্দোলন
২. অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তির আন্দোলন
৩. পাকিস্তান পরিষদের ন্যায্য আসন লাভের আন্দোলন

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে চাকুরী, ব্যবসা ও শাসন ক্ষমতায় যা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা এদেশের মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হলো। এসব অধিকার থেকে দূরে রেখে ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ববঙ্গ একত্রিত করার পরিকল্পনা নিল। বাংলা ভাষাকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল।
পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও চাকরির বৈষম্যের সাথে এদেশের মানুষের সাহিত্য ও সংস্কৃতি থেকে পাকিস্তানি সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে আইয়ুব খান “জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থা”, “পাকিস্তান কাউন্সিল”এবং “লেখক সংঘ” এর মাধ্যমে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করল।

এদেশের মানুষ সর্বতোভাবে পাকিস্তানীদের প্রতি হতাশ হয়ে গণআন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জন করলো স্বাধীন এ বাংলাদেশ।

সর্বশেষ

‘প্রজাতন্ত্র নয় গণরাষ্ট্র বানাতে বিজয় দিবসের চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে’ সিলেট মহানগরের শীত বস্ত্র বিতরণ গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিভক্ত রাজনীতি স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-১ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-২ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-৩ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা-৪ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা- ৫ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির যাত্রা- ৬
Loading...